সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
দরবারে মূসাবীয়ার ৭৭ তম পবিত্র খোশরোজ শরীফ অনুষ্ঠিত আনোয়ারায় মাজার মসজিদের  জমি দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ইউসেপ স্কুলে নবীন বরন ও এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের জয় ডাক্তার সেজে আইসিইউতে ল্যাব টেকনিশিয়ান বাকলিয়া থানার বিশেষ অভিযানে মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম পরিবহন থেকে চাঁদাবাজির সময় ৩০ জন গ্রেপ্তার সীতাকুণ্ড ডিসি পার্কে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী সাম্পান বাইচ বোয়ালখালী জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন শুরু ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে : আইজিপি

সিলেটে ব্যস্ত রাস্তায় বিএনপি নেতাকে ছুরি মেরে হত্যা

সিলেট নগরে ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে বিএনপির এক নেতাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

নিহত আ ফ ম কামাল (৪৪) নগরের সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি সিলেট জেলা বিএনপির সর্বশেষ কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত সোয়া ৮টার দিকে বড়বাজার এলাকায় প্রাইভেট কারে চড়ে যাচ্ছিলেন কামাল। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাঁর গাড়ির গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্ত্যবরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি মাইনুল জাকির বলেন, ‘কী কারণে কামালকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ’

পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘খুনিদের আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ’

সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল আহাদ খান জামাল বলেন, ‘কে বা কারা কামালকে ছুরিকাঘাত করেছে, তা এখনো জানতে পারিনি। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত নই। ’

হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাত পৌনে ১১টার দিকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নগরীর কাজলশাহ হয়ে রিকাবিবাজারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বক্তারা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এদিকে সমাবেশ শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় আসেন। এ সময় রিকাবিবাজারে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রিকাবিবাজারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত